আমার প্রতিটি উদ্যোগের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী দক্ষতায় পারদর্শী করা, আধুনিক AI-সিস্টেম তৈরি করা এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা।




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আমার নেওয়া কিছু বাস্তব উদ্যোগ এখানে তুলে ধরলাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের 'IT For All' উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ৬,০০০ এরও বেশি সহপাঠীকে AI, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, LaTeX এবং উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। অনলাইন ও অফলাইন সেশনের মাধ্যমে আমরা এই কাজটি করেছি।

মুহসিন হলের শিক্ষার্থীদের সাথে আমি তাদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত আলোচনায় বসেছিলাম। কীভাবে একটি চমৎকার সিভি তৈরি করা যায় থেকে শুরু করে রিমোট জব খোঁজার উপায় পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে কথা বলেছি, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ পথটা সহজে খুঁজে নিতে পারে।

‘DU Digitalization Program’-এ একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমি আমাদের ক্যাম্পাসকে আরও আধুনিক করার জন্য প্রস্তাবনাগুলো সরাসরি ডিন এবং প্রো-ভিসি (শিক্ষা) মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করি। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের চাওয়াগুলো আমি তাদের সামনে তুলে ধরেছি।

মোকাররম ভবনের আশেপাশে শিক্ষার্থীদের একটি ভালো ক্যান্টিনের প্রয়োজন দেখে, আমি একটি নতুন ক্যান্টিন স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নিই। আমরা শুধু মুখেই বলিনি, বরং একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দিয়েছি এবং দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা তৈরি করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য কথা বলতে আমি ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন ম্যাডামের সাথে দেখা করি। ফলাফল? আমরা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ২১ তলা ভবনের একটি সম্পূর্ণ ফ্লোর অফিস স্পেস হিসেবে বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছি।

আমাদের 'AI and IT For All' প্রোগ্রামে ফার্মেসি লেকচার থিয়েটার প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পূর্ণ ছিল। এটা শুধু কোনো লেকচার ছিল না, এটি ছিল একটি হাতে-কলমে কর্মশালা, যেখানে আমরা সবাই একসাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে ডুব দিয়েছিলাম।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমঞ্চে সেরা হিসেবে দেখার জন্য আমার সুস্পষ্ট লক্ষ্যগুলো এখানে দেওয়া হলো
এক শিক্ষার্থী, এক আইডি - রেজিস্ট্রেশন, হল, ডিপার্টমেন্ট ও পেমেন্ট সবকিছু একসাথে এক্সেসযোগ্য
হার্ভার্ড ও MIT স্তরের কোর্স শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা এবং IT ও AI দক্ষতা বৃদ্ধি
প্রযুক্তি ও দক্ষতাভিত্তিক সাবজেক্টের সিট বাড়ানো এবং ইন্টার্নশিপ/রিমোট জব সুযোগ বৃদ্ধি
স্মার্ট অ্যাপের মাধ্যমে হল সিট মনিটরিং এবং ডিজিটাল হল ব্যবস্থাপনা চালু করা
ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার আয়োজন এবং দেশের ও বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
প্রযুক্তি শিল্পে সরাসরি কাজ করার মাধ্যমে আমি যে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করেছি, তা-ই আমার শক্তি
প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা। দক্ষতা উন্নয়নে লক্ষ্য রেখে পাঠ্যক্রম নকশা ও বাস্তবায়ন।
সুপ্রিম কোর্টের আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান। ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল সলিউশন বাস্তবায়নে অবদান।
আন্তর্জাতিক গবেষণা দলে মেশিন লার্নিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রকল্পে কাজ। উন্নত অ্যালগরিদম ও নিউরাল নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার উন্নয়নে অবদান।
এখানে আমার সেইসব উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে, যা সরাসরি শিক্ষার্থীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে
YSSE-এর 'AI in Leadership' সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের ছিল। আমি বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছি এবং আলোচনা করেছি কীভাবে প্রযুক্তি নেতৃত্বকে বদলে দিতে পারে।
দুবাইয়ের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত ছিল। একজন প্যানেলিস্ট হিসেবে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা তরুণ নেতাদের কাছে প্রযুক্তি ও নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের দেশের perspective তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন ও নীতিমালা নিয়ে মাননীয় প্রধান প্রসিকিউটরের সাথে পরামর্শ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আমার উপর ছিল। দেশের আইনি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে আমার প্রযুক্তিগত জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।
আমি শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে আসিনি, আমি কাজ করতে এসেছি। চলুন, সবাই মিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি